কলেজের ইতিহাস
জাফরগঞ্জ মীর আবদুল গফুর ডিগ্রী কলেজটি কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার একটি সুপরিচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কুমিল্লা- সিলেট মহাসড়কের পাশে মনোরম পরিবেশে অবিস্থিত এ কলেজটি দেবিদ্বার উপজেলার প্রথম বেসরকারি কলেজ। ১৯৮৬ সালে এলাকার শিক্ষানুরাগী বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও এদতাঞ্চলের লোকজনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কলেজটির যাত্রা শুরু হয়। জমি ও অর্থ সহায়তায় বিশেষ অবদানের কারণে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক জনাব মীর আব্দুল গফুরের নামে কলেজের নামকরণ করা হয় । কলেজটির যাত্রা লগ্নে তৎকালীন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা মেধাবী ছাত্র জনাব মো. শাহ আলমের অবৈতনিকভাবে পাঠদানের মাধ্যমে কলেজের শিক্ষার উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। এরই মধ্যে সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে খ্যাতিমান ব্যক্তিবর্গ কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে কলেজটির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশ পুলিশের একজন খ্যাতনামা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও অত্র এলাকা কৃতি সন্তান জনাব মো. শাহ আলম ।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে কলেজটি স্থানীয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্চশিক্ষা প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে । প্রথম দিকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর থেকে এর কার্যক্রম শুরু হয়। দেবিদ্বার উপজেলা ছাড়াও পাশের বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া এলাকার বিপূল সংখ্যক শিক্ষার্থী এখানে শিক্ষা লাভের সুযোগ পাচ্ছে।
স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্ত : কলেজটি ১৯৮৮ সালের ১লা জুলাই শিক্ষা কর্তৃপক্ষের স্বীকৃতি লাভ করে । ১৯৯৩ সালের ১ মার্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এমপিওভুক্তি লাভ করে। ২০১৫-১৬ শিক্ষা বর্ষে কলেজটি ডিগ্রি স্তরের জন্য অনুমোদিত হয় ।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে কলেজটি স্থানীয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্চশিক্ষা প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে । প্রথম দিকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর থেকে এর কার্যক্রম শুরু হয়। দেবিদ্বার উপজেলা ছাড়াও পাশের বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া এলাকার বিপূল সংখ্যক শিক্ষার্থী এখানে শিক্ষা লাভের সুযোগ পাচ্ছে।
স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্ত : কলেজটি ১৯৮৮ সালের ১লা জুলাই শিক্ষা কর্তৃপক্ষের স্বীকৃতি লাভ করে । ১৯৯৩ সালের ১ মার্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এমপিওভুক্তি লাভ করে। ২০১৫-১৬ শিক্ষা বর্ষে কলেজটি ডিগ্রি স্তরের জন্য অনুমোদিত হয়।
কোর্সসমূহ: বর্তমানে এই কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ডিগ্রি স্তরে মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় পাঠদান করানো হয়। কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীন এবং
মানসম্মত ও আধুনিক শিক্ষা প্রদান – শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী পাঠ্যক্রম ও দক্ষতা ভিত্তিক শিক্ষা দেওয়া।
আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন পরিবেশ সৃষ্টি – বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার মতো শিক্ষা ও সুযোগ সুবিধা প্রদান।
শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিত্ব বিকাশ – নেতৃত্ব, যোগাযোগ দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করা।
তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক শিক্ষা – কম্পিউটার, ইন্টারনেট ও ডিজিটাল টুলস ব্যবহারে দক্ষ করে তোলা।
ক্যারিয়ারমুখী শিক্ষা প্রদান – উচ্চশিক্ষা, চাকরি ও উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করা।
সহশিক্ষা কার্যক্রমে উৎসাহ প্রদান – ক্রীড়া, বিতর্ক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সামাজিক কাজে সম্পৃক্ত করা।
মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধ গঠন – দায়িত্ববোধ, সততা ও সমাজসেবার মানসিকতা গড়ে তোলা।
সমান সুযোগ সৃষ্টি – ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে সবার জন্য সমান শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করা।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সুসম্পর্ক বজায় রাখা – পরামর্শ, সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে শিক্ষার মান বৃদ্ধি করা।
সামাজিক দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি – সমাজের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করা।
গবেষণা ও উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা – নতুন ধারণা, প্রকল্প ও সৃজনশীল কাজে শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করা।
পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি – পরিবেশ সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় ভূমিকা রাখতে উদ্বুদ্ধ করা।